কখন গোসল ফরজ হয়
যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ
৫. ইসলাম গ্রহন করলে(নব-মুসলিম হলে)।
১. কোন কারণে বীর্যপাত হলে ।
২. পুরুষাংগের মাথা স্ত্রীঅংগে প্রবেশ করালে, স্ত্রী সাথে মিলন করলে।
৩. মহিলাদের হায়েজ হলে ।
৪. মহিলাদের নেফাজ হলে ।
v ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ
উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।
৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুইয়ে ফেলতে হবে।
৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে তবে দুই পা ধোয়া যাবে না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।
৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুইয়ে ফেলতে হবে।
৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে তবে দুই পা ধোয়া যাবে না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
মনে রাখতে হবেঃ
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।
(আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে কুর’আন ও সহিহ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক
দিক এবং পূর্বের না জেনে করা ভুল ক্ষমা করুক। আমিন।)
৩.গোসলের আহকাম, যে কাজগুলোর জন্যে গোসল করা ফরজ।
গোসলের সুন্নত
১) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গোসল করা ।
২) ক্রম বজায় রাখা ।
৩) প্রথমে ওজু করা ।
৪) দু হাতের কবজী পর্যন্ত ধোয়া।
৫) শরীর থেকে নাপাকী ঘষে দুর করা ।
৬) মেছওয়াক করা।
৭) সারা দেহে তিন বার পানি ঢালা।
গোসলের মুস্তাহাব সমূহ
১) উচু স্থানে বসে পোসল করা যাতে পনি গড়িয়ে যায় ও গায়ে ছিটা না
লাগে।
২) পানির অপচয় না করা ।
৩) বসে গোসল করা ।
৪) লোক সমাগম স্থানে গোসল না করা ।
৫) পাক জায়গায় গোসল করা ।
৬) ডান থেকে শুরু করা ।
গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?
গোসলের ফরজ মোট ৩টি।
১. রোজাদার না হলে গড়গড়ার সহিত কুলি করা
২. নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।
৩. সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছানো। মহিলাদের নাকের ও কানের ছিদ্রেও পানি পৌঁছাতে হবে।
১. রোজাদার না হলে গড়গড়ার সহিত কুলি করা
২. নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।
৩. সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছানো। মহিলাদের নাকের ও কানের ছিদ্রেও পানি পৌঁছাতে হবে।
ওযু ও গোসলের মাঝে কয়েকটি ফরজ কাজ
আপনি যদি সারা দিন গোসল করেন বা পুকুরে ডুব দেন তাও আপনার গোসল হবে
না যদি না আপনি গোসলের ৩ টা ফরজ আদায় করেন। গোসলের ৩ টা ফরজ হল কুলি করা, নাকে পানি দেয়া আর সারা শরীর ভাল ভাবে ধৌত করা। আর যখন আপনি এই ৩ টা
ফরজ আদায় করবেন তখন আপনাকে আর গোসলের পরে ওযু করতে হবে না। অনেক কে দেখা যায় গোসল
করার পরও আবার ওযু করে।
এটা ঠিক না। এটা করলে পানির অপচয় হিসাবে গন্য হবে। আর অপচয় কারী
শয়তানের ভাই। আর ওযু করার সময় ওযুর ৪ টা ফরজ কাজ ক্রমানুসারে করা উচিত।
যেমন
১.প্রথমে মুখমন্ডল ধোওয়া, তার পর
২.হাতের কনুই, মাথা মাসেহ ও সর্বশেষ ২ পা ধোয়া।
৩.ওযুর মাঝে কুলি করা, নাকে পানি দেয়া ও ঘাড় মাসেহ করা সুন্নত। আর ওযু শুরু করার আগে অবশ্যই কোন শুকনা গাছের ডাল দ্বারা মেসওয়াক করবেন। মেসওয়াক করা ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
বর্তমানে বাংলাদেশে ২০ টাকা দিয়ে যয়তুন গাছের ডাল পাওয়া যায়। ওযুর আগে মেসওয়াক করলে ঐ নামায মেসওয়াক বিহীন নামায অপেক্ষা ৭০ গুণ বেশী উত্তম হয়। দেখুন শরীয়তের এই মাসলা গুলি আমাদের সকলকেই জানতে হবে। এখন আপনি চাইলে তাবলীগে সময় লাগিয়ে বা আপনার পরিচিত কোন আলেমদের কাছ থেকে বা ফিকাহর কিতাব থেকে জেনে নিবেন। এখন মাসলা না জানার কারনে যদি আপনার ওযু, গোসল বা নামাযের মাঝে কোন ভুল হয় তখন কিন্তু আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনাকে ক্ষমা করবে না।
যেমন
১.প্রথমে মুখমন্ডল ধোওয়া, তার পর
২.হাতের কনুই, মাথা মাসেহ ও সর্বশেষ ২ পা ধোয়া।
৩.ওযুর মাঝে কুলি করা, নাকে পানি দেয়া ও ঘাড় মাসেহ করা সুন্নত। আর ওযু শুরু করার আগে অবশ্যই কোন শুকনা গাছের ডাল দ্বারা মেসওয়াক করবেন। মেসওয়াক করা ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
বর্তমানে বাংলাদেশে ২০ টাকা দিয়ে যয়তুন গাছের ডাল পাওয়া যায়। ওযুর আগে মেসওয়াক করলে ঐ নামায মেসওয়াক বিহীন নামায অপেক্ষা ৭০ গুণ বেশী উত্তম হয়। দেখুন শরীয়তের এই মাসলা গুলি আমাদের সকলকেই জানতে হবে। এখন আপনি চাইলে তাবলীগে সময় লাগিয়ে বা আপনার পরিচিত কোন আলেমদের কাছ থেকে বা ফিকাহর কিতাব থেকে জেনে নিবেন। এখন মাসলা না জানার কারনে যদি আপনার ওযু, গোসল বা নামাযের মাঝে কোন ভুল হয় তখন কিন্তু আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনাকে ক্ষমা করবে না।