জুমআর নামায ফরয হওয়ার শর্ত
যে যে শর্ত সমূহের কারণে জুমআর নামায পাড়া ফরয হয়
১) মুকিম অর্থাৎ স্থায়ী বাসিন্দা হইতে হইবে। মুসাফিরের উপর জুমআ ফরয
নহে। আদায় করিলে জোহরের ফরয আদায় হইবে।
২) স্বাধীন ব্যক্তি, ক্রীত দাসের উপর ফরয নহে।
৩) সুস্থ অবস্থায় থাকা।
৪) পুরুষ হওয়া।
৫) বালেগ হওয়া।
৬) চলিবার শক্তি বর্তমান থাকা।
৭) সজ্ঞান হওয়া।
৮) দৃষ্টি শক্তি থাকা।
জুমু‘আর
নামায
শুক্রবার যোহরের পরিবর্তে মসজিদে গিয়ে ২ রাক’আত ফরয জামআত সহকারে আদায় করতে হয়
এটাই জুম’আর
নামায। শুক্রবার জুমুআর নামাযের আযান হলে সাংসারিক সমস্ত কাজ কর্ম নিষিদ্ধ হয়ে যায়
এবং জুমু্আর নামাযের জন্য প্রস্তুত হতে হয়।
জুমুআর নিম্নলিখিত নামাযগুলো সম্পন্ন করা হয়-
তাহিয়্যাতুল ওযূ-২ রাকআত, দুখুলুল মসজিদ-২ রাকআত,
ক্বাবলাল জুমুআহ-৪ রাকআত, ফরয নামায-২
রাকআত, বাদাল জুমুআহ-৪ রাকআত, সালাতুল
ওয়াক্বত-২ রাকআত এবং নফল ২ রকাআত।
তাহিয়্যাতুল ওযূ ২ রাকআতের নিয়্যাত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَالى رَكْعَتَىْ صَلوَةِ تَحِيَّةِ
الْوُضُوْءِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ مُتَوَجِّهًا اِلى جِهَةِ الْكَعْبَةِ
الشَّرِيْفَة ِ اَللهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাক’আতাই সালাতি তাহিয়্যাতিল ওযূ।
সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা
মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।
২ রকাআত দুখূলুল মসজিদের নিয়্যাত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَالى رَكْعَتَىْ صَلوَةِ دُخُوْلِ
الْمَسْجِدِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالى مُتَوَجِّهًا اِلى جِهَةِ الْكَعْبَةِ
الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই সালাতে
দুখূলুল মসজিদ। সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।
৪ রাকাআত ক্বাবলাল জুমু’আহ এর নিয়্যাত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَالى اَرْبَعَ رَكْعتِ صَلوةِ قَبْلِ
الْجُمُعَةِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالى مُتَوَجِّهًا اِلى جِهَةِ الْكَعْبَةِ
الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবা’আ রাক’আ-তে সালাতে ক্বাবলিল জুমু’আতি। সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।
এরপর ইমাম দু’টি
খুৎবা পড়বেন এরপর জামা’আতের
সাথে দুই রাকআত ফরয নামায আদায় করবেন। খুৎবা শ্রবণ করা ওয়াজিব, সুতরাং খুৎবা আরম্ভ হলে যে কোন প্রকার নামায পড়া নিষেধ।
ফরয নামায ২ রাকআত এর নিয়্যাত
نَوَيْتُ اَنْ اُسْقِطَ عَنْ ذِمَّتِىْ فَرْضَ الظُّهْرِ بِاَدَاءِ
رَكْعَتَىْ صَلوَةِ الْجُمْعَةِ فَرْضُ اللهِ تَعَالى اِقْتَدَيْتُ بِهذَا
الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসক্বিতা আন যিম্মাতী ফারদ্বায যোহরে বিআদা-ই
রাক’আয়াতাই সালাতিল
জুমু’আতি।
ফারদ্বুল্লাহি তা’আলা
ইক্বতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু
আকবার।
৪ রাকআত বা’দাল
জুমুআহর নামায এর নিয়্যাত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلهِ تَعَالى اَرْبَعَ رَكْعتِ صَلوةِ بَعْدِ
الْجُمْعَةِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالى مُتَوَجِّهًا اِلى جِهَةِ الْكَعْبَةِ
الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবা’আ রাক’আ-তে সালাতে বা’দিল জুমু’আতি। সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।
দু’রাকআত
সালাতুল ওয়াক্তের নামায এর নিয়্যাত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلهِ تَعَالى رَكْعَتَىْ صَلوَةِ الْوَقْتِ سُنَّةُ
رَسُوْلِ اللهِ تَعَالى مُتَوَجِّهًا اِلى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ
اَللهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাক’আতাই সালাতিল ওয়াক্বতে। সুন্নাতু
রাসূলিল্লাহি তা’আলা
মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।
তারপর ২ রাকআত নফল নামায পড়ে নামায শেষ করবে। এটার নিয়্যত ও নিয়ম
যোহরের নফল নামাযের অনুরূপ।