এশার নামাজ সতের রাকাত ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ,
২ রাকাত নফল, ৩ রাকাত বিতর, ২ রাকাত শফিঅল বিতর।
এশার চারি রাকাআত সুন্নত নামযের নিয়্যাত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَالَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ
الْعِشَاءِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ
الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারনঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশাই
সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল
মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।
এশার চারি রাকাআত ফরয নামযের নিয়্যাত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ
الْعِشَءِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ
الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারনঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশাই
ফারযুল্লাহি তা’য়াল
মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর
বিতরের নামায পড়িবার নিয়ম
এশার নামায পড়িবার পর বিতরের তিন রাকাআত নামায পড়িতে হয়, ইহা ওয়াজিব। পুর্বে উল্লেখিত তিন রাকাআত বিশিষ্ট নামাযের মত বেতরের
নামায পড়িবে। তবে তৃতীয় রাকাআতে সূরায়ে ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা বা আয়াত পড়িয়া আল্লাহু
আকবর বলিয়া উভয় হস্ত কান পর্যন্ত উঠাইয়া পুনঃ হাত বাঁধিয়া দোয়ায়ে কুনুত পড়িবে।
তারপর রুকু সিজদা ইত্যাদি যথারীতি আদায় করিয়া নামায শেষ করিবে।
রমজান মাস ব্যতীত সকল সময়ে বিতরের নামায একা একা এবং নিঃশব্দে পড়িতে
হইবে। রমজান মাসে এই নমায জামায়েতের সাথে আদায় করা মুস্তাহাব। রমজান মাসে তারাবীর
নামায শেষে ইমাম সাহেব প্রত্যেক রাকাতেরই সজোরে কেরাতে পাঠ করিবে এবং তৃতীয়
রাকাআতে ইমাম সাহেব কেরাআত শেষ করিয়া সশব্দে “আল্লাহু আকবর” বলিয়া কান পর্যন্ত হাত উঠাইয়া পুণরায় তাহা বাঁধিবে।
মোক্তাদিগণ চুপে চুপে শুধু ইমামের অনুকরণ করিবে। হাত বাঁধিয়া সবাই
চুপে চুপে দোয়ায়ে কুনুত পড়িবে। পরে যথাবিহিত ইমাম সাহেব রুকু, সিজাদা, তাশাহুদ, দরূদ
পড়িয়া ছালাম করিয়া নামায শেষ করিব, মোক্তাদিগহণও তাহার
অসনুসরণ করিবে।
যদি কেহ দোয়ায়ে কুনুত না জানে তবে না শিখা পর্যন্ত সে দোয়য়ে কুনুতের
স্থলে নিম্নেক্ত দোয়া পড়িবে।
উচ্চারনঃ রাব্বানাআতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাও ওয়াফিল আখিরাতে
হাচানাতাও ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অথবা, তিন বার আয় আল্লাহ আমাকে মাফ কর, পড়িবে অথবা তিন বার (আল্লাহুম্মাগ ফিরলী, ইয়ারাব্বী)
অর্থৎ হে আমার পতিপালক পড়িবে। কিন্তু সাবধান দোয়ায়ে কুনুত শিখিতে বিলম্ব মোটেও
করিবে না।
বিতিরের নামাযের নিয়্যাত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ
الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ
الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চারনঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল বিতরে
ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা
মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্
শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
ইহা বিতরের নামাযে পড়তে হয়
اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ
وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ
نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ
وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ
وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা ওয়ানুমিনু
বিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা আলা নাক
ফুরুকা ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা বুদু ওয়ালাকা
নুছালি্ল ওয়া নাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া
নাখশা আজাবাকা ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মূলহিক।
অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি, তোমার
ভরসা করিতেছি। তোমার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি, তোমার
উপর ঈমান আনিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি তোমার গুণগান
করিতেছি এবং তোমারই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি। আমরা তোমাকে অস্বীকার করি না। যাহারা
তোমার হুকুম অমান্য করে তাহাদের সঙ্গে আমরা সংশ্রব সংসগ্র পরিত্যাগ করি। হে
আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমারই খেদমতে হাজির হই
এবং তোমার রহমতের আশা করি ও তোমার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চই তোমার আজাব অবিশ্বাসিগণ
ভোগ করিবে।